SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

Job

সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত কার্যক্রম বর্ণনা করুন।

Created: 1 year ago | Updated: 6 months ago

সমুদ্র অর্থনীতির সম্ভাবনার খোঁজে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ২৬ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার।

 

সমুদ্র সম্পদ কাজে লাগিয়ে এর মাধ্যমে রফতানি শিল্পের প্রসার ঘটানো হবে। এ লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ১৫টি মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও সংগঠন তাদের নিজ নিজ অবস্থানে থেকে এসব কর্মপরিকল্পনা সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করবে।

পাশাপাশি এসব পদক্ষেপের যথাযথ বাস্তবায়নের স্বার্থে সরকারের অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পের আওতায় মনিটরিং করা হবে। যার সাফল্য-ব্যর্থতা পর্যালোচনায় এরই মধ্যে গঠন করা হয়েছে মূল্যায়ন কমিটিও। এই কমিটি এখন প্রতি তিন মাস অন্তর অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়কে অবহিত করছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মাসুকুর রহমান সিকদার স্বাক্ষরিত সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কর্মপরিকল্পনায় তৈরি করা কার্যবিরণী পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এতে দাবি করা হয়, স্বল্পমেয়াদি এক বছরের মধ্যে ৫টি পদক্ষেপ, মধ্যমেয়াদি এক থেকে দুই বছর মেয়াদে ১৩টি ও দীর্ঘমেয়াদি তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ৭টি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।

জানা গেছে, সমুদ্রে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলা এবং অন্যান্য সমস্যা নিরসনকল্পে বিভিন্ন গবেষণা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নও সমুদ্র অর্থনীতির সক্ষমতা বাড়ানোর বড় নিয়ামক। এ বাস্তবতা থেকেই প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে এ বিষয়ে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ শুরু করার তাগিদ দেয়। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ ইস্যুতে উদ্যোগী ভূমিকা নিয়ে এই কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, অর্থ, পররাষ্ট্র, শিল্প, নৌ, খনিজ ও জ্বালানি, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, বাণিজ্যিক সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গবেষণা সংস্থা সমন্বিতভাবে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে।

স্বল্পমেয়াদে সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও নীতি প্রণয়ন : সমুদ্র সম্পদের মজুদ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, নৌপরিবহন এবং জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ কাজ পরিচালনা করবে।

সম্ভাব্য রফতানিকারক চিহ্নিতকরণ এবং রফতানি বাজার সম্পর্কে অবহিতকরণ ও বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধকরণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো, বিদেশে বাণিজ্যিক মিশন ও দেশের বাণিজ্যিক সংগঠনগুলো।

স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রকল্প তৈরি করবে। এতে সহযোগী হয়ে কাজ করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, অর্থ, নৌ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, এনবিআর ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো। এক বছর সময়সীমার মধ্যে এসব কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করবে।

মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা : সমুদ্র সম্পদের উৎপাদন, রফতানি ও বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে। এসব কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে- সমুদ্র সম্পদ ব্যবহার করে অন্যান্য দেশের অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক অগ্রগতি সম্পর্কে বাস্তব ধারণা লাভ।

সমুদ্র থেকে আহরিত মৎস্য, সি-সল্ট, সি উইড, মুক্তাসহ অন্যান্য সম্পদ প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত বেসরকারি খাতকে আর্থিক প্রণোদনা ও অন্যান্য নীতি সহায়তা প্রদান। সমুদ্র সম্পদের আহরণ, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি সংগ্রহের লক্ষ্যে শুল্কমুক্ত আমদানি সুবিধা প্রদান।

শুল্ক প্রত্যর্পণ ও বন্ড সুবিধা প্রদান। সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে মৎস্যজীবীসহ সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের নগদ সহায়তা প্রদান। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দলকে বিদেশে প্রেরণ। সমুদ্র সম্পদ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা আহরণ করা।

বিশেষ করে ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, নিউজল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, মরিশাস এসব দেশের সমুদ্র সম্পদ আহরণের সম্পর্কিত কর্মসূচি আয়ত্ত করা। এসব বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে অর্থ, পররাষ্ট্র খনিজ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়, এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।

দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা : সমুদ্র সম্পদ আহরণের পর তা থেকে রূপান্তরিত পণ্যের উৎপাদন বা রফতানি বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে ৩-৫ বছর মেয়াদি বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ লক্ষ্যে গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে মৎস্য আহরণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগে উপযুক্ত প্রযুক্তি সংগ্রহ ও সংযোজন, সামুদ্রিক মৎস্যের ওপর ভিত্তি করে পণ্যের বহুমুখীকরণ ও মান উন্নয়ন করে রফতানি করার লক্ষ্যে একটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল গঠন, বহির্বিশ্বে বাজার খোঁজার ক্ষেত্রে বিদেশে বাণিজ্যিক উইংয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণে নিযুক্ত জাহাজগুলোকে ভর্তুকিতে জ্বালানি সরবরাহ, মাছ ধরার জন্য নির্মিত জাহাজ নির্মাণ খাতকে উৎসাহিত করতে বিশেষ প্রণোদনার পাশাপাশি জ্বালানি ও খনিজসম্পদ আহরণে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও জাহাজ আমদানিতে শুল্ক ও বন্ড সুবিধা প্রদান করা হবে।

 


 

6 months ago

সাধারণ জ্ঞান

Please, contribute to add content.
Content

Related Question

View More